দেশের ইলেকট্রনিক্স বাজারে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অন্যতম বিশ্বস্ত একটি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মতন দেশে স্মার্টফোন উৎপাদনের দিক দিয়েও পথিকৃত ওয়ালটন। ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজের অধীনে ওয়ালটন মোবাইলই বাংলাদেশে প্রথম স্মার্টফোন উৎপাদন এবং বিক্রয় শুরু করে।
একসময় কেউ কি ভাবত? বাংলাদেশেই সর্বাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন প্রস্তুত করা হবে? অনেকটা গর্বের বিষয় হলেও, দেশের মানুষ প্রথম ওয়ালটনের মাধ্যমেই ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত স্মার্টফোন দেখতে পায়। ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে, ওয়ালটন নিয়মিত বাংলাদেশে তাদের প্রতিটি মডেলের স্মার্টফোনগুলো প্রস্তুত করে আসছে। দেশে প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে যে, মানে বৈষম্য হবে তাও নয়! বরং মানে এগুলো আমদানিকৃত অনেক ডিভাইসের চেয়ে সেরা হয়ে থাকে!
ওয়ালটন সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তারা বাজারে আনতে চলেছে তাদের নতুন ফ্লাগশিপ লেভেলের স্মার্টফোন প্রিমো জেডএক্স৪। দারুন ব্যাপার হচ্ছে, ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলোর সাথে টেক্কা দেবার জন্য ওয়ালটনের এই প্রিমিয়াম স্মার্টফোনটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে বাংলাদেশেই। আর এমন হাই-স্পেসিফিকেশন স্মার্টফোন দেশের বাজারে এর আগে কোন প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করেনি। ওয়ালটন তাদের নিজস্ব স্মার্টফোন প্লান্টে এমন একটি স্মার্টফোন প্রস্তুত করছে যা সত্যিই গর্ব এবং সাহসিকতার বিষয়।
সময়ের সাথে তাল মিলাতে ওয়ালটন তাদের স্মার্টফোনেও নিয়মিত নিয়ে আসে বিভিন্ন নতুনত্ব! নতুন এই জেডএক্স৪ স্মার্টফোনে দেখা মিলবে সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এই সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর যেমন ডিভাইসকে ব্যবহারকারির কাছে আরো বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তুলবে; তেমনই ডিভাইসের প্রিমিয়ামনেস আরো বেশি বাড়িয়ে তুলবে।
জেডএক্স৪ স্মার্টফোনটির অন্যতম আকর্ষণ ডিভাইসটির পিছনে থাকা শক্তিশালী ক্যামেরা মডিউল। জেডএক্স৪ স্মার্টফোনের রিয়ার প্যানেলে দেখতে পাবেন ৬৪ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সরসহ ৫টি ক্যামেরা সেন্সর নিয়ে একটি পেন্টা ক্যামেরা সেটআপ। দেশে উৎপাদিত স্মার্টফোনে প্রথম এমন একটি শক্তিশালী ক্যামেরা সেটআপ, যা সত্যিই অবাক করার মত। আর এই থেকে স্মার্টফোন উৎপাদনের দিক দিয়ে ওয়ালটনের দারুন দক্ষতা এবং সক্ষমতার বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যায়।
ডিজাইন, ক্যামেরার দিক দিয়েই নয়! স্মার্টফোনটি অনবদ্য দারুন হার্ডওয়্যার সেটআপের দিক দিয়েও। ওয়ালটন স্মার্টফোনটিতে ব্যবহার করেছে মিডিয়াটেকের শক্তিশালী গেমিং প্রসেসর ‘হেলিও জি৯৫’। মান আর দক্ষতার দিক দিয়ে আধুনিক মিডিয়াটেকের প্রসেসর গুলোও কোন অংশে কম নয়! আটটি কোর বিশিষ্ট 'হেলিও জি৯৫' প্রসেসরটির বাজস্পীড ২ গিগাহার্জ। দারুন স্পেসিফিকেশন এবং ডিজাইনের ফ্ল্যাগশিপ গ্রেড এই স্মার্টফোনটিতে সবাই দেখতে পারবেন ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগ।
ওয়ালটন দারুন মানের নানাবিধ সব ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী তৈরি করে দেশের মানুষের মন জয় করে দেশের বাইরেও নিজের বিস্তৃতি তৈরি করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের বিনির্মাণে ওয়ালটন তাদের যুগান্তকারী প্রযুক্তিগত সাফল্য এবং উৎপাদনশীলতা নিয়ে নতুনদিগন্ত সৃষ্টি করছে। আশা করে যায়, সময়ের সাথে সাথে আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বার পথে ওয়ালটন আরো অনেক বেশি এগিয়ে যাবে, আর দেশের বাইরেও দারুন এক শক্তিশালী স্থান দখল করে নিবে।
No comments:
Post a Comment